নওয়াব আলী হোমিও চিকিৎসালয় (ডাঃ নওয়াব আলী প্রফেসরের বাসা), ৩৬৬, বালুবাগান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
+৮৮০-১৭২০-৬৬৭১১৭
আপনি কেন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা গ্রহণ করা থেকে নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে বঞ্চিত রাখবেন?

বর্তমানে এলোপ্যাথি চিকিৎসার উপর মানুষ এতটাই ঝুঁকে পড়েছে যে অনেকেই হোমিওপ্যাথিকে বিশ্বাস করেন না বা হোমিও চিকিৎসা গ্রহণ করতে চান না.

অথচ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা একটি প্রাচীন এবং বৈজ্ঞানিক ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত ঔষধ প্রণালী। এই চিকিৎসা পদ্ধতি মানুষের শরীরের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে উদ্দীপিত করে রোগ আরোগ্য করার লক্ষ্যে নির্মিত। শুধুমাত্র রোগের নামই নয়, বরং রোগীর সমগ্র শারীরিক ও মানসিক অবস্থা বিবেচনা করে হোমিওপ্যাথিক ঔষধ নির্বাচন করা হয়। ফলে এই চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং সহজলভ্য।

তারপরেও যেহেতু অনেকেই সঠিক তথ্য না জানার ফলে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, তারই পরিপ্রেক্ষিতে ডা. রাতুল মাহমুদ সজল স্যার এর রচিত এই আর্টিকেল। চলুন দেখে নি আপনি কেনই বা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা গ্রহণ করা থেকে নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে বঞ্চিত রাখবেন?

হোমিওপ্যাথির সুবিধা-অসুবিধা

আপনি কেন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা গ্রহণ করা থেকে নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে বঞ্চিত রাখবেন, যেখানে....

  • সঠিক এবং সুনির্বাচিত হোমিওপ্যাথিক ঔষধে রোগ স্থায়ীভাবে আরোগ্য হয়। 
  • নির্বাচিত এবং সঠিক মাত্রায় হোমিওপ্যাথি ঔষধ সেবনে, অন্য চিকিৎসা পদ্ধতির মত কোন প্রকার পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় না। 
  • হোমিওপ্যাথিক ঔষধ, অন্য পদ্ধতির ঔষধের মতো আজীবন সেবন করতে হয় না। 
  • হোমিওপ্যাথিক ঔষধ, অন্য পদ্ধতির ঔষধের মতো বেদনাদায়ক এবং লজ্জাজনক পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা হয় না। 
  • হোমিওপ্যাথিক ঔষধ, অন্য পদ্ধতির ঔষধের মতো অত দামি নয়, বরং আর্থিকভাবে অনেক সাশ্রয়ী। 
  • অন্য চিকিৎসা পদ্ধতিতে, প্রায়-ই বিভিন্ন ধরনের ঔষধে ভেজাল ধরা পড়ে, যা হোমিওপ্যাথিতে  কখনো পড়েনি। 
  • অন্য চিকিৎসা পদ্ধতির ঔষধ দীর্ঘদিন মানুষের শরীরে ব্যবহারের পরেও প্রায়ই বিভিন্ন দেশে এবং বিদেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়, যা হোমিওপ্যাথিতে কখনো হয়নি।
  • পুরুষ-নারী, শিশু-বৃদ্ধ যে কেউ  হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সেবন করতে পারে। 
  • গর্ভবতী নারীদের জন্য হোমিওপ্যাথিক ঔষধ শতভাগ নিরাপদ ; অন্য পদ্ধতির ঔষধের মত ক্ষতিকর এবং বিপদজনক নয়। 
  • কিছু সমস্যা আছে যার চিকিৎসা অন্য কোন চিকিৎসা পদ্ধতিতে আদৌ নাই এবং এটা তাদের সমাধানের-ও বাইরে, যেমন- শিশুদের লেখাপড়ায় অমনোযোগিতা, পড়া মনে রাখতে না পারা, বিভিন্ন ধরনের বদঅভ্যাস ( পা নাচানো, দাঁত দিয়ে নখ কাটা, বারবার নাকে আঙ্গুল দেয়া ইত্যাদি), শিশুদের বিছানায় প্রস্রাব, পুরুষের বীর্যে শুক্রকীট কম থাকা, নারীর কামশীলতা, হস্তমৈথুনের অদম্য ইচ্ছা, অকালে চুল ঝরে যাওয়া বা পেকে যাওয়া, শ্বেতী (ফুলপড়া) ইত্যাদি রোগের চমৎকার চিকিৎসা হোমিওপ্যাথিতে আছে, যা অন্য চিকিৎসা পদ্ধতিতে এখনো অনাবিষ্কৃত।
  • কিছু রোগ আছে যা অন্য চিকিৎসা পদ্ধতিতে অপারেশন ছাড়া আরোগ্য অসম্ভব যেমন কিডনীতে পাথর (অধিকাংশই),  পিত্তথলীতে পাথর (কিছু কিছু), হাইড্রোসিল, প্রটেস্টগ্ল্যান্ড এনলার্জ, প্রস্রাবের রাস্তা সরু হয়ে যাওয়া, একিউট অ্যাপেন্ডিসাইটিস, আঁচিল, বিভিন্ন ধরনের টিউমার, জরায়ুর টিউমার, পাইলস্-ফিস্টুলা এবং মলদ্বার সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগ, নাকের পলিপাস, জরায়ু বের হয়ে যাওয়া (প্রথম অবস্থায়), গ্যাংলিওন (কবজিতে টিউমার), স্তনের টিউমার ইত্যাদি অসংখ্য রোগ বিনা অপারেশনে, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় স্থায়ীভাবে আরোগ্য হয় এবং অপারেশন পরবর্তী বিভিন্ন ধরনের জটিলতাও এড়ানো যায়।
  • কিছু রোগের চিকিৎসা, অন্য পদ্ধতিতে এত বেশি ব্যয়বহুল যে, চিকিৎসা করতে গিয়ে রোগী সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ে, যেমন ক্যান্সার এর জন্য কেমো অথবা রেডিওথেরাপী, বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা দ্যা ভিঞ্চি রোবটিক সার্জারী, ল্যাপারোস্কপিক ওয়েভ লিথোট্রন্সি ইত্যাদি। কিন্তু হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় রোগীর জীবনও বাঁচে, ভিটে-মাটিও রক্ষা পায়। 
  • হোমিওপ্যাথিক ঔষধ ত্বকে লেপন এবং ঘ্রাণের মাধ্যমেও কাজ করে, তাই রমজান মাসের সিয়াম সাধনায় বা উপবাসে কোন ব্যাঘাত ঘটে না।
  • হাম, বসন্ত, টাইফয়েড, ইনফ্লুয়েঞ্জা, হুপিং কাশি ইত্যাদি সংক্রামক এবং ছোঁয়াচে রোগের অগ্রীম প্রতিষেধক প্রদানের মাধ্যমে এ সকল রোগ থেকে মুক্ত থাকা যায়।

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় আরোগ্যের জন্যে আপনার করণীয়

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় আরোগ্য হতে চাইলে, আপনাকে অবশ্যই সঠিক এবং নির্ভুল তথ্য প্রদান করতে হবে। আপনি যদি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসককে সম্পূর্ণ সঠিক তথ্য দিতে পারেন তবে আরোগ্যযোগ্য রোগ আরোগ্য হবেই। মনে রাখবেন, আপনার সাহায্য ছাড়া কোন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক-ই আপনাকে আরোগ্য করতে পারবেন না। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক আপনার কাছে আপনারই লক্ষণ জানতে চান, অন্য কারো লক্ষণ নয়; কিন্তু আপনি যদি চিকিৎসককে “আপনার নিজের লক্ষণগুলোই” ঠিক মতো বলতে না পারেন,  তবে চিকিৎসক আপনার জন্য কি করতে পারবেন বলুন।

সুতরাং হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় আরোগ্য হতে চাইলে -

১। নিজের রোগ লক্ষণগুলো সঠিকভাবে বর্ণনা করুন

প্রথমেই নিজের রোগ লক্ষণগুলো, রোগের বৃদ্ধি এবং উপশম (কখন বাড়ে, কি অবস্থায় বাড়ে, কখন কমে, কি করলে কমে, তাপ দিলে, ঠান্ডা দিলে, খেলে অথবা না খেলে ইত্যাদি যা কিছু আছে), সাথে আপনার বিভিন্ন ধরনের মানসিক অবস্থা (শান্ত, বদরাগী, নিষ্ঠুর, সামান্যতা কান্না পায়, সান্তনা পছন্দ বা অপছন্দ, কথা গোপন করার স্বভাব, খুঁতখুঁতে, গামছা-থালা কেউ ব্যবহার করুক তা চায় না, সাহসী, ভীতু, নোংরা, মনমরা, লাজুক, সন্দেহপ্রবন,  অতীত মানসিক আঘাত বা অপমান-অভিমান-রাগ-দুঃখ) ইত্যাদি যা কিছু আছে, সঠিকভাবে বুঝে চিকিৎসককে জানান।

২। অস্পষ্ট উত্তর দেবেন না

আমরা যখন রোগীকে প্রশ্ন করি, আপনার পিপাসা কেমন?....  কিছু রোগী উত্তর দেন “ভালো”, অথবা “মোটামটি”। এই ভালো বা মোটামটি হলো আপেক্ষিক শব্দ, এর দ্বারা নির্দিষ্ট কোন অবস্থা প্রকাশ পায় না, আপনাকে বলতে হবে “কম”, “বেশী” অথবা “স্বাভাবিক”। সুতরাং দয়া করে সহজ কথার সহজ উত্তর দেবেন।

৩। লক্ষণের বিষয়ে নিরপেক্ষতা বজায় রাখবেন

লক্ষন দেওয়ার সময় অবশ্যই নিরপেক্ষতা বজায় রাখবেন। যেমন আপনি হয়ত শীতকালে কয়েকদিন গোসল বন্ধ রাখেন, অথচ লক্ষন দেওয়ার সময় বলেন “শীতকালে প্রতিদিন গোসল করি” অথবা আপনি খুব অগোছালো এবং নোংরা প্রকৃতির কিন্তু লজ্জাবশত: বললেন “আমি খুব পরিস্কার পরিচ্ছন্ন” – এই ভুল তথ্য প্রদান আপনার জন্যই ক্ষতির কারণ হবে এবং সঠিক ঔষধ নির্বাচন ব্যহত হবে। বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন এবং অবশ্যই কোন প্রকার তথ্য গোপন করবেন না, তা যত ক্ষুদ্রই হোক না কেন।

৪। লজ্জা করবেন না

অনেক রোগী আছেন, যাঁরা লজ্জাবশত: কথা গোপন করেন, যেমন যৌনক্ষমতা কম অথবা যৌন ইচ্ছা অত্যাধিক, যৌন ইচ্ছা চেপে রাখে, ঋতুস্রাবের পূর্বে স্তনে ব্যথা করে-  ঔষধ নির্বাচনের  জন্য এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ।আপনার গোপনীয়তা অবশ্যই রক্ষা করা হবে। 

৫। সর্বদা সঠিক উত্তর টা দেবেন

আমরা যখন আপনার লক্ষণ সংগ্রহ করবো, অবশ্যই বিষয়টিকে অতীব গুরুত্বের সাথে নেবেন এবং ভেবে চিন্তে সঠিক উত্তরটা দেবেন । একথা সত্য যে, একজন মানুষের পক্ষে সবসময় সবকিছু খেয়াল করা সম্ভব হয় না, আমরা সেটা জানি তাই আপনি যেটা জানেন না বা খেয়াল করেননি স্পষ্টভাবে বলে দেবেন, “খেয়াল করিনি” তাতে বরং আমরা আপনাকে পরামর্শ দিতে পারবো যে, পরবর্তী সময়ে খেয়াল করে আসবেন। 

ঔষধ সেবনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হলে করণীয়

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতি এ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতির থেকে সম্পূর্ণ বিপরিত। এ্যালোপ্যাথিতে রোগ দ্রুত সেরে যায় কারণ তা রোগ কে ধংস করে না, বরং আপনার শরীরেই সেই রোগের জিবাণুকে সুপ্ত অবস্থায় রেখে দেয়। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় রোগ সারতে সময় লাগে কারন এটি রোগের জিবাণুকে আপনার শরীর থেকে চিরতরে বের করে দেয়। সুতরাং ঔষধ সেবনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হলে ভয়ের কিছু নেই।

নিম্নে ঔষধ সেবনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার করণীয় উল্লেখ করা হলোঃ 

  • ঔষধ সেবনের পর রোগের বৃদ্ধি হলে ৩ দিন সমস্ত ঔষধ বন্ধ রাখবেন। ৩ দিন পর আবার ঔষধ সেবন আরম্ভ করবেন। তারপরেও যদি রোগ বৃদ্ধি পায় তবে ঔষধের মাত্রা কমিয়ে সেবন করবেন। প্রয়োজনে যোগাযোগ করবেন। 
  • ওষুধ সেবনের পর যদি পুরাতন কোন রোগ লক্ষণ ঘুরে আসে তবে ঘাবড়াবেন না। এটি সঠিক ঔষধ নির্বাচনকে নির্দেশ করে। 
  • যদি হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সেবনের পর আপনি খুব দুর্বল এবং খারাপ বোধ করেন, ক্ষুধা-ঘুম, এ্যানার্জি কমে যায়, মারাত্মক অস্থিরতা আর ভালো না লাগার অনুভূতি দেখা দেয় তবে ঔষধ বন্ধ রেখে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন। 
  • বিশেষ প্রয়োজনে যে কোনো এ্যালোপ্যাথিক ঔষধ খাবেন, তবে এখানে চিকিৎসা চলাকালীন অন্য কোন হোমিওপ্যাথি ঔষধ, অ্যান্টিবায়োটিক্স অথবা চুলকানি-পাঁচড়ার কোন মলম বা ব্যথার জন্য নিক্স, ভিক্স, জাম্বাক ব্যবহার করা যাবে না। 
  • এখানে চিকিৎসাকালীন, আমরা নিষেধ না করা পর্যন্ত, হাই প্রেসারের ওষুধ বা ডায়াবেটিসের ওষুধ অথবা খিচুনীর ঔষধ বন্ধ করবেন না। 
  • প্রথমবার ওষুধ সেবনের পর, দ্বিতীয়বার আপনার অবস্থা বর্ণনার সময় অবশ্যই, সঠিক তথ্যটি বলবেন। উপকার হওয়ার পরেও আরো বেশি উপকারের আশায় যদি ভুল তথ্য দেন অথবা উপকার না হওয়ার পরে-ও যদি বলেন যে, “উপকার হয়েছে”-,তাহলে আপনি ভুল করবেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।  

শেষ কথা

সুতরাং, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতি মানুষের জীবনযাত্রার প্রায় সকল স্তরে রোগ নিরাময়ে একটি সহজ ও নিরাপদ উপায়। এর ব্যবহার জনপ্রিয় হওয়া উচিত কারণ এটি দীর্ঘকালীন স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অত্যন্ত কার্যকর। তবে সঠিক ভাবে এর প্রয়োগ ও নিয়মাবলী মেনে চলা অপরিহার্য। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় আস্থা রাখলে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসরণ করলে অনেক রোগই স্থায়ীভাবে আরোগ্য হতে পারে।

কিছু সংশ্লিষ্ট প্রশ্নাবলী

প্রশ্ন ১: হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার মৌলিক নীতি কী?

উত্তর: হোমিওপ্যাথির মৌলিক নীতি হল "অনুরূপ অনুরূপ দ্বারা আরোগ্য হয়"। অর্থাৎ যে ঔষধ সুস্থ মানুষের শরীরে রোগের লক্ষণ সৃষ্টি করতে পারে, সেই ঔষধই রোগীকে তার অনুরূপ লক্ষণগুলো থেকে আরোগ্য করতে পারে।

প্রশ্ন ২: হোমিওপ্যাথিক ঔষধ কীভাবে তৈরি করা হয়?

উত্তর: হোমিওপ্যাথিক ঔষধগুলি প্রাকৃতিক উপাদান থেকে তৈরি করা হয়। প্রাথমিক পদার্থকে বারংবার মিশ্রিত এবং শক্তিকরন করে ঔষধ তৈরি করা হয়। এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় "সঞ্চালন"।

প্রশ্ন ৩: হোমিওপ্যাথিক ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কী কী হতে পারে?

উত্তর: হোমিওপ্যাথিক ঔষধের কোন গুরুতর বা স্থায়ী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে না। তবে কখনো কখনো রোগের লক্ষণগুলো অস্থায়ীভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে, যা দেখতে ভালো লক্ষণ।

About Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *